যশোরের শার্শার উলাশী ইউনিয়নের কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার এক অভিযুক্ত সিরাজকে গ্রেফতার করেছে শার্শা থানা পুলিশ। রবিবার রাতে সিরাজগঞ্জ থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তিনি ওই এলাকার টুকুর জামাই বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ জুলাই রাতে কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামে এক গৃহবধূকে তিনজন মিলে ধর্ষণ করেন। অভিযুক্তরা হলেন—আব্দুল্লাহ, সিরাজ ও আমজেদ আলী। ঘটনার মূল হোতা হিসেবে আব্দুল্লাহকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যিনি পূর্ব থেকেই গৃহবধূকে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। প্রতিবাদ জানালে তাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
পরদিন স্থানীয়ভাবে একটি সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়, যাতে ঘটনার মীমাংসা করার চেষ্টা চলে। অভিযোগ রয়েছে, বৈঠকে অভিযুক্তদের মারধর ও অর্থদণ্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তিন লাখ টাকা জরিমানাও আদায় করা হয়। তবে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হোসেন, যিনি ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, অর্থদণ্ড আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “এলাকাবাসীর অনুরোধে বৈঠকে বসা হয়েছিল মাত্র।”
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় গ্রামবাসীর একাংশ বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরে শার্শা থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) খন্দকার শাহ আলমের নেতৃত্বে পুলিশ সিরাজকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম রবিউল ইসলাম বলেন, “আটককৃত সিরাজ পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এবং আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। মামলার বাকি দুই আসামি—আব্দুল্লাহ ও আমজেদ আলীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”